স্মার্টফোনের Display নিয়ে আলোচনা

Wednesday, June 8, 2016

স্মার্টফোনের Display নিয়ে আলোচনা

 Smartphone এর চাহিদা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । আর Smartphone মানেই Touch ফোন। এসব Touch-Screen মোবাইলে নানা ধরণের Screen ব্যবহার করা হয়। স্মার্তফোনে অনেক ধরনেরই Screen বা Display আছে। অনেকর জানা, আবার অনেকর অজানা। চলুন আজ জেনে নিই, Smart ফোনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের Screen বা Display Type সম্পর্কে।

TFT LCD Display:-

TFT সবচেয়ে বেশি প্রচলিত Screen.. পুরানো মডেলের মোবাইলগুলো থেকে শুরু করে কম বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। TFT এর পূর্নরুপ হচ্ছে Thin Film Transistor Technology এবং LCD এর পূর্নরুপ হচ্ছে Liquid Crystal Display.. খারাপ কোয়ালিটির TFT LCD ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইলে রঙ ফ্যাকাশে দেখাবে এবং স্ক্রীনের সাইড দিয়ে তাকালে অন্ধকার দেখা যাবে। ভাল কোয়ালিটির স্ক্রীন বেশি উজ্জ্বল হবে আর যেকোন দিক দিয়ে তাকালেই মোটামুটি পরিস্কার দেখা যাবে। সূর্যের আলোতে এই স্ক্রীনে পরিস্কার দেখতে অসুবিধা হয়। এ ধরনের ডিসপ্লেতে ব্যাটারীর খরচ বেশি হয় তবে এটি তৈরী করা যায় অনেক সস্তায়। তাই কম ও মাঝারী দামের সেটের এই ডিসপ্লে বেশি ব্যবহার করা হয়।

IPS LCD Display:-

IPS এর পূর্নরুপ হচ্ছে In-Plane Switching.. এটি TFT LCD Display থেকে উন্নত। এই স্ক্রীনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালো এবং ব্যাটারী কম খরচ হয়। এটি সাধারন LCD থেকে বেশী দামের বলে বেশী দামের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়।

OLED Display:

OLED এর পূর্নরুপ হচ্ছে Organic Light Emitting Diode. এটি LCD থেকে ভালো কোয়ালিটির মোবাইল Screen.. এই ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বল,কৌনিক দিক থেকে সহজেই দেখা যায় এবং বেশ হালকা।
AMOLED Display:-

AMOLED এর পূর্নরুপ হচ্ছে Active Matrix Organic Light Emitting Diode.. এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পিক্সেলগুলো নিজ থেকেই আলো তৈরী করতে পারে যার কারনে আপনি সূর্যের আলোতেও কোন সমস্যা ছাড়াই দেখতে পারবেন। OLED স্ক্রীনের মতই এর ডিসপ্লে অনেক উজ্জল, শার্প এবং হালকা। হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোনগুলোতে এই স্ক্রীন এখন অনেক ব্যবহার করা হয়।

Super AMOLED Display:-

এটি AMOLED ডিসপ্লে এর আধুনিক ভার্সন। স্যামসং এর গ্যালাক্সী স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লে সবচাইতে হালকা ডিসপ্লে এবং ব্যাটারীর খরচও আগের থেকে কম হয়।

Super LCD (SLCD):-

এটি LCD স্ক্রীনের আধুনিকতম সংস্করন। এই ডিসপ্লেতেও সূর্যের আলোতে সহজেই দেখা যায়। এছাড়াও AMOLED স্ক্রীন থেকে রঙ আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

Retina Display:-

নাম রেটিনা ডিসপ্লে বলার কারন, মানুষের সাধারন চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করা বোঝা সম্ভব নয়। এর ছবির কোয়ালিটি, শার্পনেস খুবই উন্নত মানের।

Gorilla Glass:-

গরিলা গ্লাস হলো Alkali-Alluminium যৌগের তৈরী শক্ত ও মজবুত ডিসপ্লে। এটি আপনার মোবাইলের স্ক্রীনকে দাগ, আচড়, ঘষা-মাজা এমনকি হাতুরীর শক্ত আঘাত থেকেও রক্ষা করবে। বর্তমানে Corning কোম্পানীর গরিলা গ্লাস বেশিরভাগ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।

Capacitive Touchscreen:-

 এ ধরনের টাচ স্ক্রিনে শুধুমাত্র মানুষের হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই কাজ করা যায়। এটির ডিসপ্লেতে স্পর্শ করার সাথে সাথেই ইলেক্ট্রোস্টাকিক ফিল্ড তৈরী হয় এবং দ্রুত প্রসেসরে সিগনাল পৌছানোর মাধ্যমে কাজ করে। Capacitive Touchscreen বেশি দামের আধুনিক স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার আরামদায়ক। তবে মানুষের আঙ্গুল বা অংগ ব্যাতিত অন্য কিছু দিয়ে টাচ করা যায়না।

Resistive Touchscreen:-

এ ধরনের টাচস্ক্রীনে পর্দায় দুটি স্তর থাকে। প্রথম ও ২য় স্তরের মাঝে ফাকা স্থান থাকে। প্রথম স্তরে চাপ পড়ার ফলে মাঝের ফাকা অংশটি বেকিয়ে গিয়ে ২য় স্তরে চাপ পড়বে। এবং তারপর মোবাইলের প্রসেসরে সংকেত পাঠাবে। আর এভাবেই এই টাচ কাজ করে। Resistive Touchscreen আঙ্গুল বাদেও যেকোন কিছু দিয়ে টাচ করে ব্যবহার করা যায়। এতে স্ক্রীনে বেশি চাপ দিতে হয় এবং মাঝে মাঝে ঠিক জায়গামত চাপ পড়েনা। স্টাইলাস ব্যবহারের জন্য এই স্ক্রীন উপযোগী। Resistive Touch যেভাবে কাজ করে




 তো পেয়ে গেলেন আপনার কাংখিত সমস্যার সমাধানটি এবার এনজয় করুন.

বিঃদ্রঃ-  পোষ্টটি কপি-পেষ্ট করলে অবশ্যই ভদ্র মানুষের মত blog সাইটের address টি শেয়ার করবেন.

সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ